ল্যাপটপ বাইং গাইড। ল্যাপটপ কেনার আগেই যা জানা প্রয়োজন জেনেনিন



যারা নতুন বা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার প্ল্যান করছেন, নিজের জন্যই হোক বা বন্ধুর জন্য, এই লেখা তাদের জন্যই। ল্যাপটপ যেহেতু চাইলেই ডেস্কটপের মত আপগ্রেড করে ফেলা যায় না, তাই কেনার আগে আগামী অন্তত দুই/তিন বছরের কথা চিন্তা করেই ল্যাপটপ কেন উচিৎ। ল্যাপটপ কিনতে গেলে আমাদের অনেক কিছুই বিবেচনা করতে হয়। এই অনেক বিবেচনার ভিড়ে সচরাচর চোখে পরে না কিন্তু প্রয়োজনীয় এমন ফিচার মিস হয়ে যেতে পারে।

যেহেতু বেশির ভাগ মানুষই ল্যাপটপ কেনার সময় তার বাজেটের সর্বোচ্চটাই ব্যয় করেন, তাই চাইলেই সেটা পাল্টে নতুন নেয়া সম্ভব হয় না। তাই যারা ল্যাপটপ কিনবেন নতুন বা পুরোনো প্রত্যেকের এই বিষয়টা সম্পর্কে জানা খুব জরুরি।

বাজেট অনুযায়ী ল্যাপটপ কেনার আগে বিবেচনা করবেন প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড, র‍্যাম, স্টোরেজ সহ আরো বেশ কিছু বিষয়। ৯.৩৩ মিনিটের ভিডিওতে প্রতিটি কম্পোনেন্ট সম্পর্কে বলা হয়েছে কি কি আপনার পছন্দের ল্যাপটপে থাকা প্রয়োজনীয়। সংক্ষেপে এখানে উপস্থাপন করছি আর বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখে ফেলুন। প্রয়োজনীয় মনে হলে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন।

প্রসেসরঃ প্রসেসর ল্যাপ্টপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট। বাজেট অনুযায়ী আপগ্রেড জেনারেশনের, বেশি ক্লক স্পীডের ও বেশি কোর আর থ্রেড আছে এমন প্রসেসরের ল্যাপটপ ভালো হবে।

র‍্যামঃ কমপক্ষে চার জিবি র‍্যাম আছে এমন ল্যাপটপ কিনুন। এক্ষেত্রে ৮ জিবি স্ট্যান্ডার্ড। DDR4 হলে বেস্ট। DDR3 হলে মিনিমাম 1333 MHz Clock Speed এর নিন।

গ্রাফিক্স কার্ডঃ গেমিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বা ভিডিও এডিটিং এর মত কাজ না করলে গ্রাফিক্স কার্ড এর প্রয়োজন নেই। তবে বাজেটের মধ্যে ২ জিবি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড সহ পেয়ে গেলে তো বেস্ট।

স্টোরেজঃ ল্যাপটপের খুব গুরুত্বপূর্ণ কম্পনেন্ট হল স্টোরেজ। এটাতে কম্প্রোমাইজ করলে ল্যাপটপের কোন পারফর্ম্যান্সই পাবেন না। তাই অবশ্যই SSD নেবেন। কেনার আগেই জেনে নেবেন NVMe বা M.2 Slot আছে কিনা। এটা নিয়ে আমাদের সেপারেট ভিডিও আছে সেটা দেখে নিতে পারেন।

ওয়াইফাইঃ ওয়াইফাই ভার্শন ৫ বা ৬ নিন। মানে Wifi 802.11 ac অথবা ax লেখা দেখে ল্যাপটপ কিনবেন। এতে 2.4 GHz & 5.0 GHz দুটোরই সাপোর্ট পাবেন সাথে স্পীড ও বেশি পাবেন।

ব্লুটুথঃ Bluetooth 4 or 5 সাপোর্টেড এমন ল্যাপটপ কিনবেন। এতে ওয়াইফাই এর মত স্পীড ও রেঞ্জ বেশি পাবেন। তাছাড়া নতুন ডিভাইস গুলো অনেক সময় Bluetooth 2.0 সাপোর্ট করে না।

এরপর আসে ল্যাপটপের কালার ডিজাইন আর ওয়েটের বিষয়টি। সেটা আপনার ইচ্ছার উপর ডিপেন্ড করে।

প্রযুক্তি প্রিয় বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আপনার পছন্দের ল্যাপটপটি হোক আপনার মন মত। সবাই সাবধানে থাকুন, ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন আর জানতে থাকুন বিভিন্ন তথ্য।