এলার্জির সমস্যা হলে অনেকেই এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খায়। এই ওষুধ গুলো আমাদের শরীরে তৈরি হওয়া হিস্টামিনের কাজকে বাঁধা দেয়। আর আমাদের এলার্জির সমস্যা তৈরি হয় এই হিস্টামিনের কারণেই।
এন্টিহিস্টামিন ওষুধগুলো দুই ধরনের
▪First generation antihistamine-
promethazine, chlorpheniramine
▪Second generation-
cetirizine, levocetirizine, loratadine, ebastine, fexofenadine, rupatadine.
First generation গুলো আমাদের মস্তিষ্কের blood brain barrier (BBB) ক্রস করতে পারে, আর H1, α1 and muscarinic receptors ব্লক করে; তাই এগুলো glaucoma, Benign prostatic hyperplasia (BPH), Ischemic Heart Disease (IHD) রোগীদের দেয়া যাবে না। আর লং টার্ম ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যদিকে Second generation গুলো blood brain barrier (BBB) ক্রস করতে পারে না, আর selectively H1 ব্লক করে তাই এগুলোর সাইড ইফেক্ট খুব কম বা নাই। আর Second generation এর মধ্যে Cetirizine, levocetirizine, loratadine, desloratadine and fexofenadine দীর্ঘ দিন (৬ মাস থেকে ১৮ মাস) ব্যবহার করা যায়। এন্টিহিস্টামিন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় allergic rhinitis এর জন্য।
এক্ষেত্রে এন্টিহিস্টামিন (Antihistamine) এর ব্যবহার কমানোর জন্য রোগীকে একটু কাউন্সেলিং করলে ভালো হয়
১। এই অসুখের permanent কোন চিকিৎসা নাই।
২। যে জিনিস গুলো খেলে বা যেগুলোর কাছে গেলে এই সমস্যা হয় সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন-বেগুন বা ইলিশ মাছ খেলে যদি সমস্যা হয় তবে এগুলো খাওয়া যাবে না। ধূলা-বালিতে গেলে বা ঠান্ডা লাগলে যদি সমস্যা হয় তবে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
৩। আর যখন সমস্যা শুরু হয়ে যাবে, যেমন-নাক বন্ধ বা পানি পড়া তখন ঔষধ খাবেন।
এন্টিহিস্টামিন নিয়ে কারো কোনো পরামর্শ থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
0 Comments